বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন অবিশ্বাস, দুর্নীতি ও স্বার্থপরতার ছায়া দীর্ঘ হচ্ছে, তখন একদল মানুষ নিরবে-নিভৃতে ইনসাফ, সত্য ও আল্লাহভীতির আলো জ্বেলে যাচ্ছে। তারা হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী — একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা ধর্মভিত্তিক, আদর্শনিষ্ঠ ও জনকল্যাণমুখী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।
সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল অবস্থান
জামায়াতের রাজনীতির ভিত্তি হলো সত্য ও ইনসাফ। দলটি বিশ্বাস করে, একটি সমাজ তখনই টিকে থাকতে পারে যখন শাসকগণ আল্লাহভীতি নিয়ে, জবাবদিহির চেতনায় কাজ করে। তারা চায় না ক্ষমতা ভোগ করতে—তারা চায় দায়িত্ব পালন করতে।
এ কারণেই জামায়াত:
-
চাঁদাবাজি করে না
-
দুর্নীতিতে জড়ায় না
-
অন্যায় ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চর্চা করে না
-
জুলুম, গুম, হত্যা বা হুমকির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না
জনগণের ভালোবাসার কারণ
কেন জনগণ জামায়াতকে ভালোবাসে? কারণ তারা প্রতিশ্রুতি নয়, কাজ দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করেছে। গোপনে ত্রাণ দেওয়া, গরিবদের পাশে দাঁড়ানো, দুর্যোগে ছুটে যাওয়া—এই সব কর্মকাণ্ড জামায়াতের নৈতিক শক্তিকে দৃঢ় করেছে।
তারা রাজনীতিকে ইবাদতের অংশ মনে করে। আর এটাই দলটিকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়।
উন্নয়ন ও জনকল্যাণে বাস্তব পরিকল্পনা
ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন একটি সৎ ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি ঘোষিত করেছেন ৬টি কমিটেড সার্ভিস—
-
জবাবদিহিমূলক নেতৃত্ব
-
যুব উন্নয়ন
-
স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ
-
মানবিক সহায়তা
-
নৈতিক শিক্ষা
-
পরিচ্ছন্ন পরিবেশ
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি মানে নৈতিক রাজনীতি
অনেকে মনে করেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি মানেই সংকীর্ণতা। কিন্তু জামায়াত দেখিয়ে দিয়েছে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি মানেই নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতা ও জনগণের প্রকৃত সেবা।
তারা সব ধর্মের মানুষের অধিকার রক্ষা করে, এবং কারো ওপর জোরজবরদস্তি করে না।
শেষ কথা
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যদি সত্য, ইনসাফ ও ন্যায়ের ওপর গড়া হয়, তবে সেখানে জামায়াতের ভূমিকা অপরিহার্য।
জনগণ আজ ক্লান্ত—তারা নতুন কিছু চায়।
তারা আল্লাহভীরু নেতৃত্ব চায়, নয় চায় দুর্নীতির কারিগর।
জামায়াত সেই ন্যায়ের নাম, যে ন্যায়ের আশায় মানুষ এখনো বুক বাঁধে।
📌 আপনি যদি ইনসাফভিত্তিক সমাজ চান — তাহলে আপনার সিদ্ধান্ত হোক আলোকিত ও সচেতন।
0 Comments:
Post a Comment